Barbad Bengali Movie Full Story | বারবাদ বাংলা সিনেমার কাহিনি ও পর্যালোচনা
গল্পটি শুরু হয় স্কুলের ক্লাসরুমে, যেখানে একটি ছেলে একটি মেয়েকে চুমু খায়।
শিক্ষক সেটি দেখে ছেলেটিকে ধমক দেন, কিন্তু ছেলেটি শিক্ষককে রক্তাক্ত করে ফেলে। এরপর ছেলেটির বাবা শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চান। শিক্ষকের স্ত্রী রাজি না হলে, ছেলেটির বাবা তাকেও মেরে ফেলে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে সে চিন্তিত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি ছেলেটির নাম আরিয়ান মির্জা।
গল্প কয়েক বছর এগিয়ে যায়। আরিয়ান মির্জা ততদিনে আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে। সে নিজেকে বলে যে তার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। তাই সে তার প্রেমিকা নিতুর বিয়ের আসরে গিয়ে তাকে মেরে ফেলে। কেন মারে, তা আমরা সামনেই জানতে পারব। নিতুর হত্যার জন্য সারাদেশে আরিয়ানের ফাঁসির দাবিতে মিছিল শুরু হয়। আরিয়ানকে কোর্টে আনা হলে ব্যারিস্টার নানা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে জানান যে আরিয়ান একজন চরম মাদকাসক্ত।
তখন আরিয়ানের পেছনের কর্মকাণ্ডগুলো দেখানো হয়। একবার পুরো পুলিশ দল তার অপরাধমূলক কাজের জন্য তাকে ধরতে গেলে তার বাবা আদিব মির্জার কারণে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়, এমনকি তাকে স্যার বলেও ডাকে। এরপর ব্যারিস্টার কোর্টে আরিয়ান মির্জার মেয়ে কেলেঙ্কারির কথা উপস্থাপন করে। আরিয়ান সবসময় পার্টি আর মেয়ে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। একটি পার্টিতে নিতুর সাথে তার দেখা হয়, এবং সেখান থেকেই নিতু হত্যার সূত্রপাত।
ফ্ল্যাশব্যাকে আমরা দেখতে পাই আরিয়ান মির্জার পার্টিতে নিতু অফিসের ডিনারে এসেছে। সেখানে নিতু আরিয়ানকে টাকা ওড়াতে দেখলে চ্যারিটির জন্য তার কাছে টাকা চায়। আরিয়ান কোনো কথা না শুনে শুধু নিতুর দিকে তাকিয়ে থাকে, কারণ সে প্রথম দেখাতেই নিতুর প্রেমে পড়ে যায়। এরপর সে একটি স্যুটকেস ভর্তি টাকা নিতুকে দেয়, যা দেখে নিতু খুশি হয়। আরিয়ান নিতুকে ড্রিংকস অফার করলে সে জানায় যে সে ড্রিংক করে না, তাই আরিয়ান তাকে শরবত দেয়। শরবত খেয়ে নিতু বেহুশ হয়ে যায়। তখন আরিয়ানের পিএস জিল্লু জানায় যে নিতু সহজে কোনো প্রস্তাবে রাজি হতো না, তাই সে শরবতে ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছে। আরিয়ান জানায় যে সে ভালোবাসার মানুষকে কিছু করতে পারবে না, তাই সে নিতুকে বেহুশ করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
পরের দিন আরিয়ান নিতুর অফিসে গিয়ে তাকে দেখতে থাকে এবং সেদিনও তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। তখন নিতুর কেয়ারটেকার আরিয়ান সম্পর্কে খারাপ কথা জানায় এবং প্রমাণ হিসেবে আরিয়ানের নামে নেটে সার্চ দিতে বলে। নিতু অফিসে এসে নেটে আরিয়ান সম্পর্কে সার্চ দিলে আরিয়ান সেখানে চলে আসে। নিতু অবাক হয়ে ফোন ফেলে দেয়। এরপর আরিয়ান নিতুর জন্য গাড়ি কেনার টাকা চায়। এতে তার মামার মাথা গরম হয়, কারণ সে অলরেডি ৭০০ কোটি টাকা উড়িয়েছে। তাই মামা তাকে বকে এবং বলে যে এবার আরিয়ানকে শেষ করতে হবে, তাহলেই তার প্ল্যান সফল হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী মামা আরিয়ানকে মারার জন্য লোক পাঠায়, কিন্তু আরিয়ান নিতুর সামনেই তাদের এক এক করে খতম করে দেয়।
যা দেখে নিতু ভয় পায়। পরের দিন নিতুর বস তাকে চাকরি থেকে বের করে দিলে আরিয়ান তা জানতে পারে। তাই আরিয়ান অফিসে এসে নিতুর বসকে মারধর করে এবং নিতুর সামনে মাফ চাইতে বলে। বস ভয়ে মাফ চায়, এবং নিতুও তাকে মাফ করে দেয় এবং সবকিছুর জন্য নিজেও মাফ চায়। এরপর নিতু আরিয়ানকে বলে, "আপনি যদি আমাকে বিছানায় নিয়ে যেতে চান, তাহলে চলুন আমি রেডি।" তখন আরিয়ান জানায় যে সে চাইলে প্রথম দিনেই এটা করতে পারত, কিন্তু সে নিতুকে ভালোবাসে।
কথাগুলো শুনে নিতু জানায় যে সে আরিয়ানকে ভালোবাসে না এবং তাকে ভালোবাসা যায় না। কারণ আরিয়ান সারাদিন ড্রাগস নেয় এবং পাওয়ার দেখায়। এরকম মানুষের সাথে সংসার করা যায় না, তাই তাকে কখনো ভালোবাসতে পারবে না এবং বিয়েও করবে না। কথাগুলো শুনে আরিয়ান অনেক কষ্ট পায় এবং বাসায় এসে তার মাথা খারাপ হয়ে যায়। একসময় সে নেশা করা ছেড়ে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করে। তখন তার পিএস জিল্লু বলে যে এভাবে নেশা ছাড়া যাবে না, রিহ্যাবে যেতে হবে। তাই আরিয়ান রিহ্যাবে ভর্তি হয় এবং বিষয়টি সে তার বাবার কাছ থেকে গোপন রাখে। রিহ্যাব চলাকালীন আরিয়ানের অবস্থা খারাপ হতে থাকলে জিল্লু নিতুকে ফোন করে। নিতু এসে আরিয়ানের কষ্ট দেখে মায়ায় পড়ে এবং একসময় আরিয়ানকে জানায় যে সে তার জন্য নিজেকে পরিবর্তন করছে দেখে তার ভালো লাগছে এবং সে তার সাথে আছে। কথাটি শুনে আরিয়ান খুশি হয়।
এরপর নিতু রিহ্যাবে আরিয়ানের সেবা করতে থাকে। আরিয়ান সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে নিতুর সাথে সুন্দরভাবে কথা বলে এবং তার ভালোবাসার কথা জানায়, যা শুনে আরিয়ান অনেক খুশি হয়। সেখানে আরিয়ানের বান্ধবী আসলে তার সাথে কথা বলতে দেখে নিতু জেলাস হয়ে চলে যায়। এরপর নিতু দরজা না খুললে আরিয়ান বন্দুক দেখিয়ে দরজা খোলায়। সেখানে আমরা নিতু আর আরিয়ানের ভালোবাসা দেখতে পাই, আবার নিতুর থেকে থ্রেড দেওয়ার ব্যাপারটাও শুনি। থ্রেডটা ছিল, "আর একবার যদি বন্দুক নিয়ে আমার সাথে মস্করা করো, তাহলে আমি নিজে নিজের মাথায় পিস্তল চালিয়ে মারা যাব।" আরিয়ান জানায়, "আর হবে না।"
এরপর ফ্যামিলির একজনের বার্থডে প্রোগ্রামে আরিয়ান নিতুকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। এর মধ্যে আরেক ব্যবসায়ীর ছেলে প্রিন্স নিতুকে নিয়ে খারাপ কথা বললে আরিয়ান রেগে যায়, কিন্তু ফ্যামিলি প্রোগ্রাম বলে কিছু করতে পারে না। পরবর্তীতে এক পার্টিতে প্রিন্সকে পেয়ে আরিয়ান তাকে উচিত শিক্ষা দেয়। প্রিন্স নিতুকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করছিল, তাই আরিয়ান প্রিন্সের মুখে হিসু করে দেয়। প্রিন্স তার অপমানের কথা বাবাকে জানায় এবং বড় ভাইকে কিছু একটা করতে বলে। তখন দেখানো হয় প্রিন্সের বড় ভাই ফারহানকে, যে একসাথে অনেক পুলিশকে মেরেছিল। বাবা নাবিদ খান তাকে বিদেশে পাঠায়, তাই সে তার ছোট ছেলে প্রিন্সকে বলে ফারহানকে দেশে আনা যাবে না, কারণ এখন ওর অনেক ঝামেলা আছে।
সেখানে আরিয়ানের মামা এসে বলে, "সবকিছু হয়েছে ওই মেয়ের জন্য। আমি ওকে শেষ করে দিচ্ছি। আপনি আরিয়ান আর তার বাপকে শেষ করেন, তাহলেই খেল খতম।" মামা লোক দিয়ে নিতুকে গুলি করায়, আরিয়ান নিতুকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে এবং জিল্লুকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে কিলারকে খুঁজে বের করতে বলে। এরপর নিতুর জ্ঞান ফিরলে আরিয়ান তার সাথে দেখা করে। তারপর যে নিতুকে গুলি করেছিল, তাকে বেঁধে কুচু কুচু করে কাটে। এরপর বুঝতে পারে এখানে তার মামাও জড়িত, তাই কৌশলে সেখানে মামাকে ডাকে আরিয়ান এবং এক কোপে দুই ফাঁক করে মেরে ফেলে। তখন আমরা বুঝতে পারি, নিতুকে যে ফুলের টোকা দেবে আরিয়ান তাকেই শেষ করে দেবে, সে যেই হোক না কেন।
এর মধ্যে আদিব মির্জা জেনে যায় কাজটি আরিয়ান করেছে। তাই আরিয়ানকে ডাকলে আরিয়ান বলে, "পার্সোনাল লাইফে হাত দিয়েছিল, তাই মামাকে মারতে হয়েছে।" তো বাবা নিতুকে নিয়ে আসতে বলে, বিয়ের কথা পাকা করানোর জন্য। পরের দিনে নিতুকে নিয়ে বাবার সামনে হাজির হয় আরিয়ান। তখন নিতু আরিয়ানের বাবাকে দেখে গালি দেয়, সাথে সিগারেট ধরায়। গল্পের মোড় নেয় ৩৬০ ডিগ্রি। আরিয়ান বলে, "এসব কি বলছো? উনি আমার বাবা।" নিতু বলে, "আমারও বাবা ছিল।" তখন দেখানো হয় নিতু আর তার বাবাকে। তো আদিব মির্জাসহ তার পলিটিক্যাল বন্ধুরা মিলে এক প্ল্যান সাজিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ সাতজনকে মেরে ফেলে একটি ব্লাস্টে। আদিব মির্জা এই ব্লাস্টে ফাসিয়ে দেয় নিতুর বাবাকে। তখন পুলিশ এসে নিতুর বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। এতে নিতু আর তার বড় বোন বাবাকে ছাড়ানোর জন্য তাদের চাচার কাছে গেলে চাচা জানায়, তাদের বাবাকে একমাত্র আদিব মির্জাই ছাড়াতে পারবে। তাই বড় বোন আদিবের কাছে যায় বাবার প্রাণ বাঁচাতে। তখন আদিব মির্জা বলে, "যদি তুমি আমাকে সঁপে দাও, তাহলে তোমাদের বাপ বাঁচবে।" নিরুপায় হয়ে বড় বোন যায় আদিবের কাছে।
তখন আদিব মির্জা বড় বোনকে রেপ করলে সেই রাতেই বড় বোন সুইসাইড করে। ওদিকে তাদের বাবাকেও আর বের করে নিয়ে আসে না আদিব মির্জা, যার কারণে নিতুর বাবার ফাঁসি হয়। তো নিতু আরিয়ানকে বলে, "তুমি হচ্ছো তোমার বাবার জীবন আর আমি হচ্ছি তোমার জীবন। তাই তোমার বাবাকে শেষ করতে এই প্ল্যান করেছি। আমি তোমাকে ভালোবাসি না, এটা জাস্ট রিভেঞ্জ।" তো আরিয়ান নিতুকে বোঝাতে থাকে যে সে তাকে কতটা ভালোবাসে, জানায় তাকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না। নিতু তখন বলে, "আমি এটাই চাই, তোমার আর তোমার বাবার ধ্বংস, তাহলে আমার বাবা শান্তি পাবে।" এরপর আরিয়ান তার বাবাকে নিয়ে আসে নিতুর কাছে এবং সরি বলতে বলে। ছেলের ভয়ে সরি বলতে থাকে আদিব এবং বলে ড্রিংক করে এসব করেছে। এরপর তার পার্টনারদের এসে নিতুর বাবাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানালে তারা কেউ রাজি হয় না।
তখন আরিয়ান জানায়, "সবাই এবার আমার কথা শুনবে, সবাই এবার রাজি হবে।" তাই জিল্লুকে বলে সবাইকে একত্র করতে। এরপর সবাই এক হলে মেশিনগান চালিয়ে মেরে ফেলতে থাকে আরিয়ান। যেখানে ছিল প্রিন্সের বাবাও। এই সিনটা জাস্ট অসাধারণ ছিল, শাকিব খানের এগ্রেশন একদম মুগ্ধ করে দিয়েছে। আগে অপমান, এখন বাপের মৃত্যু, তাই প্রিন্স এবার ভাই ফারহানকে খবর দেয়। ওইদিকে আরিয়ান সবাইকে মেরে নিতুর কাছে আসলে নিতু জানায়, "সবারকে মারলেও আমি তোমাকে বিয়ে করবো না।" এরপর নিতু তাকে অপমান করতে থাকলে আরিয়ান বলে, "তুই কি আমাকে ছেড়ে যাবি? আমিই তোকে ছেড়ে দিলাম।" এরপর চলে যেতে থাকলে পেছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরে কান্না করে নিতু, সাথে জানায়, "আমার ভুল হয়ে গেছে, আমি বুঝতে পারিনি তুমি চলে যাবে।" কথাগুলো শুনে আবার ভালোবাসা জাহির করতে থাকে আরিয়ান। তখন হাসি দিতে থাকে নিতু, জানায়, "আমার অভিনয়ে এক সেকেন্ডে পটে গেলে।" এরপর আরো করে অপমান, সাথে বলে, "তুমি এক সেকেন্ডে আমার প্রেমে পড়েছো, আর তোমাকে ছাড়তে আমার এক ন্যানো সেকেন্ড লাগবে।" কথাগুলো শুনে এবার নিতুকে চড় মারে আরিয়ান এবং জানায়, "প্রতিশোধ যখন নিবি, তখন দুইটা কবর খুলে রাখিস, একটা তোর জন্য আর একটা আমার।" এই বলে চলে যায়।
এরপর আবার নেশায় মত্ত হয় আরিয়ান। এর মধ্যেই দেশে চলে আসে ফারহান, এসে খোঁজ করে আরিয়ান আর নিতুকে। ওদিকে নেশায় মাতাল হয়ে দুইদিন পর জ্ঞান ফেরে আরিয়ানের, আবার নিতুর বাড়ির দিকে যেতে থাকে। তখন ফারহানের নির্দেশে আরিয়ানের গাড়িতে এক্সিডেন্ট করানো হয়। তখন মারাত্মক আহত অবস্থায় আরিয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার লোকজন। এরপর অপারেশন ঠিকমতো হলেও ডাক্তার জানায় সময় লাগবে, কিন্তু আরিয়ান জ্ঞান ফেরা মাত্রই সব ব্যান্ডেজ খুলে ফেলে। ওইদিকে নিতুকেও তুলে নিয়ে আসে ফারহান। তারপর ফারহান নিতুকে মারার বদলে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। আরিয়ানের কাছে খবর চলে আসে নিতুর বিয়ের কথা। তখন আরিয়ান তার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে বেরিয়ে পড়ে নিতুকে মারতে, যা আমরা একদম শুরুর সিনেই দেখেছিলাম। এ পর্যায়ে এসে আমরা প্রথম সিন দেখলাম।
নিতু ফারহানকে কবুল বলার আগে বিয়ের প্রোগ্রামে চলে আসে আরিয়ান। তারপর এক এক করে হিংস্রের মতো সবাইকে মারতে থাকে। ফারহানকে মারাটা সেরা ছিল, বর্ণনা করলে এভাবে করা যায়, প্রথমে ফারহানকে মারে, তারপর আগুনে জ্বালিয়ে দেয়, এরপর সে আগুনে সিগারেট ধরায়। সবাইকে শেষ করার পর নিতু থাকে শুধু। তো নিতু আরিয়ানের দিকে এগিয়ে আসলে আরিয়ান তাকেও গুলি করে। "আমি আমার জীবনে কোনো মেয়েকে ভালোবাসিনি, স্বপ্ন দেখিনি, কিন্তু তোকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম। আর সেই তুই অন্য কাউকে বিয়ে করছিস, এটা আমি মেনে নেব ভাবছিস?" এরপর গুলি করতে করতে বলে, "তুই আমার না, তো কারো না।" মৃত্যুর আগমুহূর্তে নিতু বলে, "যা করছো ভালো করছো। তোমার সাথে মিথ্যা প্রেমের অভিনয় করতে গিয়ে তোমাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি, কিন্তু বাবা আর বোনের মার্ডারারের পরিবারের সাথে সংসার করলে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়। তাই যা করছো ভালোই করছো।" কথাগুলো শুনে আরিয়ান ইমোশনাল হয়ে পড়ে। তাই জিল্লুকে দ্রুত হেলিকপ্টার রেডি করতে বলে। তো আরিয়ান নিতুকে কোলে করে নিয়ে যেতে থাকলে আরিয়ানের কোলেই মারা যায় নিতু। এরপর আরিয়ান নিজেই পুলিশের কাছে সারেন্ডার করে, কারণ তার তো আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। তারপর কি হয়, তা আমরা শুরুতেই দেখেছি। তো কোর্টরুমে পক্ষ-বিপক্ষ উকিল যুক্তিতর্কে লিপ্ত হলে আরিয়ান কোর্টে জানায়, "আমি নিজ হাতে নিতুকে মেরেছি, তাই আমাকে ফাঁসি দেন," সাথে অনেক ইমোশনাল কথাবার্তা বলে নিতু সম্পর্কে। তো সব প্রমাণ সত্য হওয়ায় আদালত আরিয়ানকে ফাঁসিতে ঝুলানোর নির্দেশ দেয়। এরপর যথাসময়ে আরিয়ানের ফাঁসি কার্যকর করতে নিয়ে আসা হয়, তখন তার বাবাও ঘড়ির টাইম দেখতে থাকে। তারপর নির্দিষ্ট সময়ে আরিয়ানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ওদিকে আদিব মির্জাও ঘড়ি ধরে ঠিক সেই সময় সুইসাইড করে। আর এখানে শেষ হয় বরবাদ। শাকিব খান পুরো বরবাদ জুড়ে ছিলেন দুর্দান্ত। এমন শাকিব খানকে আগে কখনো কেউ দেখেনি। বরবাদ সিনেমা পুরোটাই একটা প্যাকেজ, যে প্যাকেজে এন্টারটেইন করার সবকিছু ছিল। গল্পটা ভালোবাসার, যেখানে প্রধান হচ্ছে ভায়োলেন্স। এই ভায়োলেন্সও এসেছে ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে। যেখানে আছে পাওয়ার রিভেঞ্জের ব্যাপার। পাওয়ার আরিয়ানকে শেষ করেছে, আর রিভেঞ্জ নিতুকে নিঃশেষ করেছে।