Sikandar (2025) Movie Full Story | Salman Khan New Movie Review & Plot Summary
গল্পের শুরুতে আমরা দেখতে পাই একজন লোক দলবল নিয়ে প্লেনের মধ্যে বসে এক মহিলাকে হ্যানস্থা করছে সাথে মহিলার অতীতের ইতিহাস উল্লেখ করে ফিজিক্যালি অ্যাবিউজডও করে সেই সময় এক আগন্তুক এসে সেই লোকসহ তার দলবলকে প্রচুর মারে। একসময় লোকটি নতি স্বীকার করে এবং সেই মহিলার কাছে মাথা নত করে। এরপর সিন শিফট করে দেখানো হয় মুম্বাইয়ের এক পাওয়ারফুল রাজনীতিবিদকে, যে আবার মুম্বাইয়ের হোম মিনিস্টার। প্লেনে যে লোকটি মার খেয়েছিল তার নাম হচ্ছে অর্জুন, আর অর্জুনের বাপ হচ্ছে হোম মিনিস্টার। তো ছেলেকে যে মেরেছে তাকে এনকাউন্টার করার জন্য পুলিশ অফিসার প্রকাশকে পাঠায় হোম মিনিস্টার।
হোম মিনিস্টারের অর্ডার অনুযায়ী সেই আগন্তুকের ডিটেইলস বের করে প্রকাশ। তখন আমরা জানতে পারি সেই আগন্তুকের নাম সঞ্জয় রাজকোট। তো সঞ্জয়কে ধরতে তার বাড়িতে যায় প্রকাশ। গিয়ে এসে জানতে পারে সঞ্জয় রাজকোট এই রাজ্যের রাজা। ভেতরে গেলে সঞ্জয় রাজকোটের ওয়াইফ অর্থাৎ রানী সাহেবা জানায়, "আমার হাজবেন্ড জানতো আপনি এখানে আসবেন, তাই আগেই পুলিশ স্টেশনে গেছে। তাই এখন যেতে পারেন, কিন্তু আপনাদের গাড়িতে না, আমাদের গাড়িতে।" তো প্রকাশ বাইরে আসলে দেখে পুরো রাজ্যের মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছে, যেমনটা আগে রাজার বাড়িতে প্রজারা আসতো। দেখে তাদের গাড়িও সব ভেঙে ফেলছে। তাই শেষমেষ প্রকাশ সহ তার ফোর্সকে রাজার গাড়িতে করে থানাতে ব্যাক করতে হয়।
এরপর থানার সামনে আসলে দেখে সেখানে প্রচুর মানুষের সমাগম। তো প্রকাশ ভেতরে প্রবেশ করলে আমরা দেখতে পাই সঞ্জয় রাজকোট রাজার মতোই পুলিশ স্টেশনে বসে আছে, যেখানে চারপাশে রয়েছে বড় বড় সব পুলিশ অফিসার। এর মধ্যে একজন প্রকাশকে বোঝায়, "তুমি এটা কি করতে গিয়েছিলে জানো না, সেই রাজ্যের রাজা।" প্রকাশ জানায় হোম মিনিস্টারের অর্ডারে গিয়েছিলাম। তখন অফিসার বলে, "সবসময় রাজনীতি চলে না।" এরপর সঞ্জয় রাজকোটকে চলে যেতে বলা হয়। সেই সময় প্রকাশ সঞ্জয়কে জানায়, "তুমি কার গায়ে হাত দিয়েছো জানো, এই খেলা এখানেই শেষ হচ্ছে না।" জবাবে সঞ্জয় বলে, "যা হবে দেখা যাবে, আমি কোন ভুল কাজ করিনি।"
এরপর সঞ্জয় রাজকোট থানা থেকে চলে আসতে গেলে তার ওয়াইফ ফোন দেয় প্রকাশকে আর বলে, "কি আমার হাজবেন্ডকে ধরতে পারলেন না? তো আপনি আর আপনার হোম মিনিস্টার কখনোই আমার হাজবেন্ডকে ছুঁতেও পারবেন না।" প্রকাশ্য জানায়, "কোনদিন বাইরে তো পাবো, সেদিন আমি তাকে ধরবো।" সঞ্জয়ের ওয়াইফ আবার বলে, "জীবনেও তো তা করতে পারবেন না।" এই বলে সে ফোন কেটে দেয়। এরপর সঞ্জয় তার ওয়াইফকে নিয়ে একটা বিয়ের প্রোগ্রামে গেলে সেখানে এক পুলিশকে নিয়ে ফলো করে প্রকাশ্যক, সাথে আরো ডিটেইলস সংগ্রহ করে সঞ্জয়ের।
ডিটেইলস সংগ্রহ করে সঞ্জয়কে মারার জন্য গুন্ডা হায়ার করে। এই গোপন তথ্য অন্য পুলিশটা রানী সাহেবা অর্থাৎ সঞ্জয়ের ওয়াইফকে ফোন করে সব বলে। তাই বিয়ে থেকে সময় রানী তার রাজার জন্য চিন্তায় পড়ে যায়। তাই বিভিন্ন কথা বলতে বলতে হোয়াটসঅ্যাপে সবাইকে টেক্সট করে জানায় যে সঞ্জয় বিপদে। তো একসময় গুন্ডাদের মুখোমুখি হয়েই যায় সঞ্জয়, তখন একাই সে তাদের সাথে লড়াই করে। একসময় সঞ্জয় পড়ে যায় পয়েন্ট ব্ল্যাকশুটে, ততক্ষণে সঞ্জয়ের লোকজন রানীর কথা অনুযায়ী চলে আসলে ভয়ে পালিয়ে যায় গুন্ডারা। এরপর আমরা দেখতে পাই রাজা আর রানীর রোমান্স।
ওইদিকে হোম মিনিস্টার তার ছেলে অর্জুনের বার্থডে সেলিব্রেট করে, সেই সময় প্লেনের মধ্যে থাকা মহিলার কাছে এর মাথা নত হওয়ার ভিডিও সবার কাছে পৌঁছে যায়, মানে ভিডিওটা ভাইরাল হয়ে যায়। তখন মাথা গরম হয়ে যায় হোম মিনিস্টারের। অর্জুনও বলে, "আমাকে আর কেউ ভয় পাবে না, বাইরে মুখও দেখাতে পারবো না।" তখন তার বাবা জানায়, "যখন ওই লোকের মাথা কাটা হবে ঠিক তখনই সবাই আবার ভয় পাবে।" এরপর সিন শিফট হলে রানীর থ্রোতে আমরা প্রেগনেন্সির কথা জানতে পারি। রানীর ব্যাপারটা যখন তার রাজা সাহেবকে বলতে যাবে তখন রাজমহলে আসে রাজার ম্যানেজার। তাই রানীর থেকে কোন কথা না শুনেই চলে আসে ম্যানেজারের কাছে।
ম্যানেজার তখন জানায়, "পাঞ্জাবের এক ড্রিলার আমাদের থেকে বারুদ নিয়েছিল, আমি ভুল করেছি এটা দিয়ে।" কথাটা শুনে সঞ্জয় জিজ্ঞেস করে, "ওই বারুদ দিয়ে কি টেরোরিস্টরা পাঞ্জাবে ব্লাস্ট ঘটিয়েছে?" উত্তর হ্যাঁ হলে সঞ্জয় রেগে যায় ম্যানেজারের উপর আর চর মেরে বাইরে বের করে দেয়। এরপর ওই পুলিশ অফিসার আবার রানীকে ফোন করে ভেতরের গোপন তথ্য ফাঁস করে। সে জানায়, "প্রকাশ গুন্ডা দিয়ে রাজা সাহেবের ম্যানেজারকে মারতে যাচ্ছে আর ম্যানেজার মারা গেলে এর বোম ব্লাস্টের ঘটনায় রাজা সাহেব ফেঁসে যাবে। প্রকাশ সাহেব এভাবে রাজা সাহেবকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।" কথাগুলো শুনে রানী সাহেবা জানায়, "আমার রাজার কখনোই কিছু হতে দেবো না।"
ওইদিকে ম্যানেজারকে আক্রমণ করতে আসে গুন্ডারা, সেই সময় সঞ্জয় সেখানে উপস্থিত হয় আর সবাইকে মারে। সঞ্জয়ের পিছু-পিছু সেখানে রানীও আসে। রানী জানে এখানে বোম রাখা হয়েছে, তাই একসময় সঞ্জয়কে তার কাছে ডাকে, তখন বোম ব্লাস্ট হলে রানীর জন্য বেঁচে যায় রাজা সঞ্জয়। এরপর রানী সায়শ্রী জানায়, "তুমি কয়েকদিন কোথাও চলে যাও, এখানে থাকলে পুলিশ তোমাকে মেরে ফেলবে, তাই দূরে থাকো আর কোর্টে গিয়ে সমস্যা সমাধান করো।" সায়শ্রীর কথা মেনে নেয় সঞ্জয়, তাই অন্য জায়গায় যায়। তখন আমরা সায়শ্রীর পেটে রক্তের দাগ দেখতে পাই, বোম ব্লাস্টের সময় একটা স্প্রিন্টার তার শরীর ভেদ করে কিন্তু তা সে সঞ্জয়কে জানায় না।
সঞ্জয়কে বিদায় দিয়ে সায়শ্রী এডমিট হয় হাসপাতালে। তখন সঞ্জয়ের লোক ফোন করে সঞ্জয়কে জানায়, সাথে বলে "জাস্ট নরমাল চেকআপ, টেনশন করার কিছু নেই।" এমনিতে ওয়াইফের প্রতি সেরকম টান কখনোই ছিল সঞ্জয়ের। এর মধ্যে কোর্টে গিয়ে সব সমাধান করে ফেলে সঞ্জয়, কিন্তু এরপরেই সবচেয়ে দুঃখের কথা জানতে পারে সে, কারণ শাহিস্ত্রী মারা যায়, তাই দ্রুত হাসপাতালে যেতে হয় সঞ্জয়কে। এরপর শাহি স্ত্রীর ফোন ঘাটতে দেখে তাকে কত মেসেজ করেছে সে। তখন ডাক্তার এসে জানায়, "রানী সাহেবা মরণোত্তর অর্গান ডোনেশন করেছে, তাই আপনার পারমিশন লাগবে।" পারমিশন দেয় সঞ্জয়। এরপর শাহি স্ত্রীর সৎকার কার্যক্রম শেষ করে বাড়ি আসলে একা ফিল করে, যদিও সে স্বাস্ত্রীকে সেরকম সময় দিত না, তবে পেছনের অনেক স্মৃতি তার মনে পড়ে শাহিস্ত্রীর মৃত্যুর পর স্বাস্ত্রীকে আরো ভালোভাবে জানার জন্য শাহি স্ত্রীর বন্ধুদেরও আমন্ত্রণ করে।
তখন সঞ্জয় জানতে পারে শাহিস্ত্রী প্রেগনেন্ট ছিল। এরপর সে আরো ইমোশনাল হয়ে পড়ে, তাই ডাক্তারকে ফোন করে আর জিজ্ঞেস করে শাহিস্ত্রীর কি কি অর্গান ডোনেট করেছে। ডাক্তার জানায় লাঞ্চ, কিডনি, চোখ। সঞ্জয় আরো জিজ্ঞেস করে এগুলো যাদেরকে ডোনেট করা হয়েছে তাদের কোথায় পাবো? ডাক্তার বলে মুম্বাই। ভালোবাসার মানুষের অর্গানের মায়ায় সঞ্জয় এবার মুম্বাই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর একা যেতে চাইলে তার সঙ্গী সাথী রানী সাহেবার বিভিন্ন স্মৃতি নিয়ে তার সাথে কথা বলে। তখন সিনটা হয়ে যায় আরো ইমোশনাল। তাই সঞ্জয় তার দলবল নিয়েই... মুম্বাই পাড়ি জমায়। মনে আছে নিশ্চয়ই মুম্বাইয়ের হোম মিনিস্টার হচ্ছে অর্জুনের বাপ। তাহলে কি সামনে বড় বিপদে পড়তে যাচ্ছে সঞ্জয় রাজকোট? চলুন সামনে আগানো যাক।
তো মুম্বাই নেমে সঞ্জয় দামি গাড়ি ছেড়ে ট্যাক্সি করে প্রথম অর্গান রিসিভারের কাছে যায়। প্রথম অর্গান রিসিভার একটা বাচ্চা, তার লাঞ্চ নষ্ট হওয়ায় সাইশ্রীর লাঞ্চ তাকে দেওয়া হয়েছে, থাকে মুম্বাইয়ের সবথেকে নোংরা বস্তিতে। আবার বাচ্চাটি অনাথ। তো সঞ্জয় ওই বাচ্চাসহ তার সব বন্ধুদের আবদার পূরণ করে। এরপর সেখানে মেডিকেল স্টুডেন্ট বাচ্চাটির ট্রিটমেন্টের জন্য আসলে সঞ্জয় জানতে পারে সবসময় এই এলাকার মানুষ মারা যায়, তাও আবার বিভিন্ন অঙ্গহানি হয়ে। কারণ ওখানে সমস্ত ময়লা আবর্জনা ফেলা হয় এবং পোড়ানো হয়, সেখান থেকে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বের হয়ে সবাইকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। সঞ্জয় সবকিছু শুনে জিজ্ঞেস করে, "এখান থেকে ময়লার স্তূপ সরানো হয় না কেন?" মেডিকেল স্টুডেন্ট জানায়, "আমেরিকা বিষ একর জায়গার উপর শপিং মল করতে যাচ্ছে, সেই অনুযায়ী এখানকার চুক্তিতে থাকা বিরাট বাক্সি এই জায়গা চুজ করে, তারপর জায়গা খালি করার জন্য ময়লা আবর্জনা ফেলে। এতে কয়েক পরিবার অলরেডি তাদের কাছে জমি বিক্রি করেছে, হয়তো সামনে আরো অনেকেই করবে, তখন আর কিচ্ছু করার থাকবে না।"
বিষয়গুলো শুনে সঞ্জয় বলে, "এখানে খুব রং হচ্ছে।" তো যাওয়ার আগে সঞ্জয় বলে, "এখানে আর কোন পলিউশন থাকবে না, বিরাট নামেও কেউ থাকবে না। বিরাট যত টাকা ইনভেস্ট করেছে তার চেয়ে বেশি টাকা আমি তাকে দেবো।" কথাগুলো শুনে সবাই খুশি হয়। সঞ্জয় সেখান থেকে চলে আসে দ্বিতীয় অর্গান রিসিভারের কাছে। এবার যার কাছে যায় তাকে সায়শ্রী চোখ দেওয়া হয়েছে। চোখ দেখে সঞ্জয় তার ওয়াইফকে স্মরণ করে। তারপর ওই ফ্যামিলিতেও কিছু সমস্যা সমাধান করে সঞ্জয়। তৃতীয় জনকে দেখতে হাসপাতালে আসে সঞ্জয়। এসে জানতে পারে পেশেন্টের অবস্থা ক্রিটিক্যাল। ব্যাপারটা জেনে সঞ্জয় বেস্ট ডাক্তারকে ইনফর্ম করে, তখন এক স্পেশাল মেডিকেল টিম এসে পেশেন্টকে ইমিডিয়েটলি দেখভাল করে, এতে তার কন্ডিশন ভালো হয়। সঞ্জয় তিনজনের মাঝে শায়শ্রীকে খুঁজে পেয়ে এবার রাজকোটে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
তাই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথেই ওই হোম মিনিস্টারের ভাষণের জ্যামে আটকে যায়। তখন সঞ্জয় বুঝতে পারে এখানে যদি তাকে দেখে ফেলে তাহলে সমস্যা হবে, তাই দ্রুত যাওয়ার চেষ্টা করে। এর মধ্যেই এক পুলিশ সঞ্জয়কে দেখে অর্জুনকে ফোন দেয়। অর্জুন বিশ্বাস করে না, তারপর প্রকাশও ফোন করে অর্জুনকে জানায় রাজমহলে গিয়েও খোঁজ নেবে বলে জানায় প্রকাশ। এর মধ্যে ডিসপ্লেতে সঞ্জয়কে দেখলে চমকে ওঠে হোম মিনিস্টার। এরপর ছেলেকে নির্দেশ দেয় ধরার, তাই অর্জুন এবার গাড়ি নিয়ে সঞ্জয়ের পিছু নেয়। পিছু নিতে নিতে একসময় এক্সিডেন্টে মারা যায় অর্জুন। ওইদিকে প্রকাশ রাজমহলে গেলে জানতে পারে সঞ্জয় রাজকোটে এসেছে রানী সাহেব অর্গান রিসিভারদের দেখতে, তাই দ্রুত ব্যাপারটা সে হোম মিনিস্টারকে জানায়।
তো সঞ্জয় কোর্টে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠলে জানতে পারে তিন অর্গান রিসিভারের অবস্থা তেমন একটা ভালো না। এতে সঞ্জয় আবার মুম্বাই ব্যাক করতে চাইলে তার লোকজন জানায় দূর থেকেও তাদের সেবা দেওয়া যাবে, কিন্তু আপনি যদি এখন যান তাহলে লাইফ রিস্ক হতে পারে, তাই বাধ্য হয়েই রাজকোটে ফিরতে হয় সঞ্জয়কে। পথের মধ্যে মিনিস্টার ফোন দেয় সঞ্জয়কে আর জানায় তিনজন অর্গান রিসিভারের কথা জেনে গেছি, তাদের আর রক্ষা নেই, আরো বিভিন্ন রকম থ্রেড দিতে থাকে। সঞ্জয় এবার চ্যালেঞ্জ এক্সেপ্ট করে আর নাই আমি আবার মুম্বাই ফিরে আসছি দেখি আমাকে কে কি করতে পারে এই বলে ট্রেন থেকে দলবলকে নিয়ে নামে সঞ্জয়।
মুম্বাই ফিরেই সঞ্জয় ফিরে আসে ওই বস্তিতে আর সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলানো দেখলে তাদের সাথে লড়ে সে। ওইদিকে তিন অর্গান রিসিভারের খোঁজে পুলিশের সাথে মিটিং এ বসে হোম মিনিস্টার। পুলিশ জানায় সঞ্জয় পুরো সিস্টেম লক করে রেখেছে, তাই ওই তিনজনের ধারে কাছেও যাওয়া মুশকিল। তখন মিনিস্টার অর্ডার দেয় সঞ্জয়ের কোন এক লোককে ধরার, সেটার ব্যাপারে পুলিশ বলে যদি সঞ্জয়ের এগেনেস্টে কেস ফাইল করা যায় তবে তা লোকদের ধরা যাবে। প্রকাশ জানিয়ে দেয় সেই বিষয় দেখছে। তো সঞ্জয় আবার চলে আসে দ্বিতীয় অর্গান রিসিভারের বাড়িতে এসে দ্বিতীয়বারের মতো সমস্যা সমাধান করে, তখন মনে পড়ে যায় সায়শ্রীর সাথে পেছনের দিনগুলোর কথা। যাই হোক সঞ্জয় এবার চলে আসে তৃতীয় জনের কাছে এসে বাবার থেকে জানতে পারে মেয়েটির ডিপ্রেশন আছে, এর মধ্যে তার বয়ফ্রেন্ডের অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। ব্যাপারটা যদি জানতে পারে তাহলে যাবে সে। তো মেয়েটির টেক কেয়ার করার পারমিশন নেয় সঞ্জয়।
ওদিকে সঞ্জয়ের ওই খাদানের ম্যানেজারকে ধরে আনে প্রকাশ, তাকে ভয় দেখিয়ে সঞ্জয়ের নামে ওই পাঞ্জাব ব্লাস্টের মিথ্যা স্টেটমেন্ট নেয়। মিনিস্টার নেওয়া শেষ হলে নিজ হাতে সবার সামনে ম্যানেজারকে মেরে ফেলে সে যাতে কোন পাল্টি নিতে না পারে। তো স্টেটমেন্ট অনুযায়ী সঞ্জয় সহ তার সঙ্গীদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওদিকে সঞ্জয় তৃতীয় অর্গান রিসিভার নিশার টেক কেয়ার করতে থাকে। নিশাকে নিয়ে চলে আসে বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে। তো প্রথম সঞ্জয় একা যায় সেখানে বয়ফ্রেন্ডের পুলিশওয়ালা চাচা সঞ্জয়কে দেখে ধরতে আসে, তখন সঞ্জয় সেখানে সবাইকে মেরে নিশাকে নিয়ে চলে আসে। এরপর জানতে পারে খাদানের ম্যানেজারকে পুলিশ মেরে ফেলেছে, মেরে ফেলার আগে সে তার নামে স্টেটমেন্ট দিয়েছে, তাই পুলিশ তাকে খুঁজছে।
এর মধ্যেই পুলিশ চলে আসে সঞ্জয়ের কাছে, তখন সঞ্জয় টাকা দিয়ে ব্যাপারটা সামলায়। আর ওই টাকা পুলিশকে দিতে যায় সঞ্জয়ের দুই লোক, তখন তারা পুলিশ স্টেশন থেকে প্রকাশের থ্রোতে জানতে পারে সঞ্জয়কে যে পুলিশ ধরবে তাকে এক কোটি টাকা দেওয়া হবে। কথাগুলো শুনে তারা সঞ্জয়কে ব্যাপারটা জানায়। তাই সঞ্জয় প্রকাশের বাড়িতে যায়। যাবার পরে প্রকাশ যখন সঞ্জয়কে মারতে আসে তখন সঞ্জয় তার মোকাবেলা করে আর উল্টে তাকে প্রচুর মারে। এর মধ্যে প্রকাশের ওয়াইফ এবং বাচ্চা চলে আসলে তাকে মারা থামিয়ে তার সাথে ভালো ব্যবহার করে যেন সেখানে কিছুই হয়নি, সাথে তাকে রিয়ালাইজ করায় পুলিশি পেশা অনেক সম্মানের বউ বাচ্চাকে ঠিকঠাক রাখতে পেশা সৎ ব্যবহার করার পরামর্শ দেয় সঞ্জয় তাকে।
এরপর দ্বিতীয় অর্গান রিসিভার যাকে শাইশ্রীর চোখ দেওয়া হয়েছে সে আবার বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে পড়ে, সেখানে এসে আবার সমস্যার সমাধান করে সঞ্জয়। তারপর যায় ওই বিরাটের আস্তানায়। তখন বিরাট বলে তুমি নাকি আমার 20 ফ্ল্যাট কিনে নিয়েছো, দাম কত জানো? সঞ্জয় দামের হিসাব দেয় আর জানায় ডাবল টাকায় কিনে নেব, টাকাও সাথে নিয়ে এসেছি পার্কিং লটে কন্টেইনারের ভিতরে আছে। বিরাট কন্টেইনার ভর্তি টাকা দেখে বলে একজন যদি তোমাকে মেরে টাকাগুলো নিয়ে নেয়? তখন সিসিটিভি ক্যামেরায় এক ব্লাস্টের ফুটেজ দেখায় সঞ্জয় আর জানায় এটা তো স্যাম্পল বেশি কিছু করলে এক্সাম্পল দেখিয়ে দেব। সবকিছু বিবেচনায় বিরাট প্লট হস্তান্তর করে সঞ্জয়ের কাছে। এরপর লোকজন দিয়ে সব ময়লা সরিয়ে ফেলে খুশিতে পুরো এলাকাবাসী উৎসবে মেতে ওঠে, সেখানে যোগ দেয় সঞ্জয়ও।
এরপর আবার সে দ্বিতীয় অর্গান রিসিভারের বাড়িতে আসে খোঁজখবর নিতে, তখন বাড়ির সবাই সঞ্জয়ের সাথে আন্তরিকতা দেখায় সঞ্জয়ও তাদের সাথে মিলে মিশে যায়। এর মধ্যেই প্রকাশ আবার তিনজনের ডিটেইল বের করে আর তা হোম মিনিস্টার কে জানায়। হোম মিনিস্টার বলে এবার সব খেল খতম করবো তো। দ্বিতীয় অর্গান রিসিভারের হাজবেন্ড একটা কাজে থানাতে আসলে দেখে সঞ্জয়ের ছবি ক্রিমিনাল বোর্ডে, তাই বাড়ি এসে সবাইকে জানায়। ওইদিকে প্রথম অর্গান রিসিভার বাচ্চাটা অসুস্থ হয়ে অস্থায়ী জায়গায় চিকিৎসা নিলে সঞ্জয় এসে পরে বড় হাসপাতালে নিয়ে যেতে চায়, তখন বাচ্চাটা জানায় আমি একা যাব না এই এলাকায় যত অসুস্থ মানুষ আছে তারাও যদি আমার সাথে হাসপাতালে এডমিট হয় তবেই যাব। বাচ্চাটার কথাগুলো শুনে মেডিকেল স্টুডেন্টকে জিজ্ঞেস করে এখানে কতজন রোগী আছে, তারা জানায় 6000। তো সঞ্জয় 6000 জনেরই হাসপাতালে ভর্তি করার পারমিশন দেয়, যেটা শুনে অবাক হয় মেডিকেল স্টুডেন্টরা। তখন সঞ্জয় জানায় আমার কাছে যা আছে সেইটা দিয়ে 60 হাজার মানুষকে সেবা দেওয়া যাবে। এরপর সব রোগীকে হাসপাতালে শিফট করানো হয়।
এরপর নিশার বয়ফ্রেন্ড কে মানাতে আসে সঞ্জয়, তখন নিশা সঞ্জয়ের উপরেই ক্ষেপে যায় আর বিভিন্ন কথা তাকে শোনায়। সেই সময় সঞ্জয়ের কাছের লোকজন উপস্থাপন করে সঞ্জয় আসলে কি আর কেনই বা এখানে সে এসেছে। নিশা সব জেনে কান্না করে আর সরি বলে। ওইদিকে ভাই অর্থাৎ দ্বিতীয় অর্গান রিসিভার সহ তার পুরো ফ্যামিলিও সঞ্জয় সম্পর্কে সবকিছু জেনে আফসোস করে কারণ তারা সঞ্জয়ের নামে কি না কি বলেছে আর সেই সঞ্জয়ের মৃত ওয়াইফের চোখ কিনা তাদের পরিবারে। ওইদিকে হাসপাতালে লাংস রিসিভার বাচ্চাটার অবস্থা খারাপ হয়, তখন সেখানেও জানানো হয় সঞ্জয় আসলে কে অর্থাৎ তিন অর্গান রিসিভার জেনে যায় সঞ্জয় কেন তাদেরকে এত টেক কেয়ার করছে। তো বাচ্চাটার অবস্থা খারাপ হতে থাকলে বিদেশী ডাক্তারকে দ্রুত নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে ডাক্তার এয়ারপোর্টে চলে আসলে তাকে নিতে যায় সেই সময় মিনিস্টারের লোকজন ভাইদের সহ তার পরিবারের উপর আক্রমণ করার লোক পাঠায়। তো তারা দ্রুত হাসপাতালে চলে আসে সঞ্জয়ের কাছে। নিশা তখন অনলাইনে এসে সঞ্জয় এবং তার ওয়াইফের অর্গান ডোনেশন সম্পর্কে বললে সবার লোকেশন প্রকাশের মাধ্যমে জেনে যায় মিনিস্টার।
তাই অনেক লোক পাঠায় সঞ্জয় সহ তিনজনকে মারার জন্য, কিন্তু হাসপাতালে সঞ্জয় থাকে না এয়ারপোর্টে যাচ্ছে। তো সঞ্জয়কে তার লোকজন ফোনে হামলার ব্যাপারটা জানালে সঞ্জয় তাদেরকে সামলাতে বলে। তাই মিনিস্টারের অসংখ্য লোকজনের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় সঞ্জয়ের সঙ্গীর সাথে একসময় লড়াইয়ে সঙ্গীর সাথে আহত হলে সেখানে সঞ্জয় আসে আর সবাইকে শেষ করে দেয়। এরপর জানতে পারে বিদেশী ডাক্তার এসেও মিনিস্টারের কথাতে ইমিগ্রেশনে সমস্যায় পড়েছে, তাই সে আবার বিদেশ ফিরে যাচ্ছে। কথাটা শুনে মাথা গরম হয়ে যায় সঞ্জয়ের, তাই সে এবার মিনিস্টারের মুখোমুখি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর এক ধামাকার মধ্য দিয়ে মিনিস্টারের বাড়িতে উপস্থিত হয় সঞ্জয়।
এরপর বাইরের পোশাক কুকুর গুলোর সাথে লড়ে ভেতরে প্রবেশ করে সঞ্জয় আর সিএম কে ফোন দিয়ে হোম মিনিস্টারের পথ থেকে তাকে সরিয়ে ফেলে। তো এক্স হোম মিনিস্টারের সামনে এসে সঞ্জয় এবার বলে তুই চেয়েছিলি না ডক্টর যেন না আসতে পারে, কিন্তু ডক্টর তো চলে এসেছে এবং চিকিৎসাও করছে। কথাটা শুনে এক্স মিনিস্টার সঞ্জয়কে আঘাত করতে আসলে সঞ্জয় এক মাইরে তাকে ঠান্ডা করে ফেলে। এরপর সঞ্জয় হাসপাতালে ফিরলে ডাক্তার জানায় সফলভাবে সার্জারি হয়েছে। তখন সঞ্জয় অন্য দুই অর্গান রিসিভার সহ বাচ্চাটিকে দেখতে যায় বাচ্চা চোখ খুলে ধন্যবাদ দেয় সঞ্জয়কে, সাথে ওই দুইজনও ধন্যবাদ দেয়, তখন সঞ্জয় জানায় এইসব কিছু আমার স্বাস্ত্রীর তো। এক্স মিনিস্টারের বাড়িতে হামলার জন্য প্রকাশ এবার সঞ্জয়কে হ্যান্ডকাপ পড়িয়েই ফেলে যা সে রানী সাহেবাক